এখনো স্বামীর ‘মৃ’ত্যুর খবর জানেন না আ’ইসি’উতে চিকিৎসাধীন ডা. শারমিন আক্তার অন্তরা (২৯)। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বামী ডা. আল মাহমুদ সাদ ইমরান খানকে নিয়ে ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পথে দুটি বাসের মুখোমুখি সং’ঘ’র্ষে প্রা’ণ হারান ডা. আল মাহমুদ সাদ ইমরান খানসহ আটজন। গু’রুত’র আহত হন ডা. অন্তরাসহ ১৮ জন। ডা. শারমিন আক্তার অন্তরা বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টেসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রয়েছেন।
এদিকে সিলেটে ভ’য়াব’হ বাস দু’র্ঘট’নার কথা মনে হলে আঁ’ত’কে ওঠেন আহতরা। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহনেওয়াজ ও শামীমসহ আ’হত’রা দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা ভুলতেই পারছেন না বলে জানান। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ দুর্ঘটনায় আহত মোট ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেও দুই নারীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা দুজনই ঢাকার বাসি’ন্দা ছিলেন এবং তাদের কোমরসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাঙা ও গুরুতর জখম আছে।’
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের প্রায় সবাই মোটামুটি স্বাভাবিক আছেন। তুলনামূলক ঝুঁ’কিমু’ক্ত। তবে তিনজনের হাত পায়ের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভা’ঙা থাকায় অবস্থা ‘গু’রু’তর বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদের ছোটখাটো জ’খ’ম আছে।’ দুটি বাসে ‘সং’ঘ’র্ষে’র ঘটনায় আটজন নি’হ’ত হওয়ার ঘটনায় একটি মাম’লা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে দুর্ঘ’ট’নাক’বলি’ত দুই বাসের চা’ল’কদের আসা’মি করে মাম’লা’টি করেন। সেই সাথে ক্ষ’তিপূরণ হিসেবে একটি আর্থিক পরিমাণও মা’ম’লায় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, ‘উভয় বাসের চালক ‘নি’হ’ত হয়েছেন। তবে এখন তদ’ন্ত করে দেখতে হবে যারা গাড়ি চালাচ্ছিল তারা আসলেই চালক নাকি অন্য কেউ।’ এর আগে গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকামুখী এনা পরিবহনের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৭৩১১) মু’খোমু’খি সং’ঘ’র্ষ হয়। দুর্ঘ’ট’নায় দুই বাসের চালক ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত আটজন নি’হ’ত হয়েছেন।