বিদেশি কর্মীদের ক’রো’না ভা’ইরা’সে’র টি’কা বাধ্যতামূলক করেছে মালয়েশিয়া সরকার। যে সকল নিয়োগকর্তা তাদের বিদেশী কর্মীদের টি’কা প্রদানে ব্য’র্থ হবেন, সে সব নিয়োগকর্তার বি’রু’দ্ধে জে’ল জ’রিমা’নার বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ক’ড়া নির্দেশনা জা’রি করেছে দেশটির সরকার।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ভার্চুয়াল এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, দেশটিতে বিভিন্ন কারখানার নিয়োগকর্তারা কর্মীদের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা রেখেছে তাতে দেখা গেছে অনেক আবাসনস্থল ‘কো’ভি’ড -১’৯ ঝুঁ’কির মধ্যে রয়েছে সেই সব নিয়োগকর্তার বি’রু’দ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারেও কো’ভি’ড-১’৯ ম’হামা’রী ধ’রা পড়েছে যেখানে অনথিভু’ক্ত অভিবাসীদের আট’কে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় টি’কা দান কর্মসূচী বাস্তবায়িত হওয়ার পর সরকারি হাসপাতালে বিদেশী কর্মীদের টি’কা দেওয়ার জন্য আমরা সকল নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। বিদেশী কর্মীদের ন্যূনতম আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা (সংশোধনী) আইন ২০১৯ এর ৪৪৬ ধা’রা ল’ঙ্ঘ’নের অভিযোগে সেসব নিয়োগকর্তাদের বি’রু’দ্ধে তিন বছর পর্যন্ত কা’রাদ’ণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২০০,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা হতে পারে।
এছাড়াও সরকার প্রাথমিকভাবে নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করেছিল তাদের বিদেশী শ্রমিকদের সকল ‘টি’কা দানের খরচ বহন করতে, কিন্তু মন্ত্রিসভা পরে দেশের স্থানীয় নাগরিকের জন্য বি’না’মূ’ল্যে কো’ভি’ড-১’৯ টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন পাশাপাশি বিদেশী কর্মীদের অ’ন্তর্ভু’ক্ত করা হয়। সেই সাথে কূটনীতিবিদ, বিদেশী শিক্ষার্থী, বিদেশী স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান, জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড ধারীদের জন্য এই বিনামূল্যে ‘ক’রো’না টি’কা প্র’দান করা হবে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন বৈধ বিদেশী কর্মী রয়েছে।